আপনারা সবই আমাদের ওয়েবসাইট বুকমার্ক করবেন নতুন আপডেট পাওয়ার জন্য !

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

প্রতিদিন আদা খেলে কী কী উপকার পাবেন

আদা আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত একটি মসলা। তবে এর গুণাগুণ শুধু রান্নায় সীমাবদ্ধ নয়। বহু শতাব্দী ধরে আদা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে। আদার অন্যতম কার্যকর উপাদান হলো জিঞ্জেরল, যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণসম্পন্ন। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন আদা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।

আদা


১. বমি বমি ভাব দূর করে

আদা পেটে গ্যাস্ট্রিক রসের উৎপাদন বাড়ায়, যা খাবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে। আদায় থাকা জিঞ্জেরল, শোগাওল এবং জিঞ্জেরোন উপাদানগুলো পেটের অস্বস্তি ও বমি বমি ভাব দূর করতে কার্যকর। বিশেষ করে যারা ভ্রমণের সময় বা গর্ভাবস্থায় বমি বমি অনুভব করেন, তাদের জন্য আদা খুবই উপকারী।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

প্রতিদিন আদা খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং এটি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আদায় থাকা উপাদানগুলো শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৩. মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়

মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছেন? আদা খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রশমিত হতে পারে। আদা প্রদাহ সৃষ্টিকারী এনজাইমগুলোকে বাধা দেয়, যা মাইগ্রেনের মূল কারণ। এটি রক্তনালিতে ফোলা ভাব কমায় এবং মাথার পেশি শিথিল করতে সহায়তা করে, ফলে ব্যথা কমে যায়।

৪. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। আদার রস টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করতে এবং টিউমারের আকার হ্রাস করতেও সহায়তা করে।

৫. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

আদা রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ আদার উপাদান অগ্ন্যাশয়কে ইনসুলিন তৈরি করতে উদ্দীপ্ত করে।

৬. উদ্বেগ কমায়

আদায় থাকা ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এটি মানসিক চাপ কমাতে একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

৭. বদহজম কমায়

যাদের বদহজমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য আদা অত্যন্ত উপকারী। আদা খাবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে এবং প্রদাহ রোধ করে। এটি গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমায়, যা পেটের আলসার নিরাময়েও কার্যকর। বদহজম কমাতে আদা চা একটি ভালো সমাধান।

৮. হাঁপানি প্রশমন করে

আদায় থাকা জিঞ্জেরল ফুসফুসের শ্বাসনালির পেশি শিথিল করে, যা হাঁপানি রোগীদের জন্য উপকারী। এটি শ্বাস নিতে সমস্যা হলে শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে, ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয়।

৯. আলঝেইমারের ঝুঁকি কমায়

আদা মস্তিষ্কে ফলক গঠন কমায়, যা আলঝেইমারের মতো রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং প্রদাহ কমিয়ে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে।

উপসংহার

আদা শুধুমাত্র একটি মসলা নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে আদা অন্তর্ভুক্ত করলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা এবং সার্বিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

পাসপোর্ট ফি এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন

পাসপোর্ট ফি এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন


আপনি ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করার সময় সরাসরি পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব করা হবে। বাংলাদেশে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিসের জন্য, অনলাইনে পেমেন্ট করা সম্ভব।



অনলাইন পেমেন্ট ছাড়াও আপনি ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে পাসপোর্টের নির্ধারিত ফি জমা দিতে পারবেন।

পাসপোর্ট


আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ফি তালিকা:


৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (৫ বছরের মেয়াদ)  

- সাধারণ ডেলিভারি (২১ দিনের মধ্যে): ৪,০২৫ টাকা  

- এক্সপ্রেস ডেলিভারি (১০ দিনের মধ্যে): ৬,৩২৫ টাকা  

- সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিনের মধ্যে): ৮,৬২৫ টাকা  


৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (১০ বছরের মেয়াদ)

- সাধারণ ডেলিভারি (২১ দিনের মধ্যে): ৫,৭৫০ টাকা  

- এক্সপ্রেস ডেলিভারি (১০ দিনের মধ্যে): ৮,০৫০ টাকা  

- সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিনের মধ্যে): ১০,৩৫০ টাকা  


৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (৫ বছরের মেয়াদ)  

- সাধারণ ডেলিভারি (২১ দিনের মধ্যে): ৬,৩২৫ টাকা  

- এক্সপ্রেস ডেলিভারি (১০ দিনের মধ্যে): ৮,৬২৫ টাকা  

- সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিনের মধ্যে): ১২,০৭৫ টাকা  


৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (১০ বছরের মেয়াদ)

- সাধারণ ডেলিভারি (২১ দিনের মধ্যে): ৮,০৫০ টাকা  

- এক্সপ্রেস ডেলিভারি (১০ দিনের মধ্যে): ১০,৩৫০ টাকা  

- সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিনের মধ্যে): ১৩,৮০০ টাকা  

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

২০২৪ সালে ই-পাসপোর্ট করতে কী কী প্রয়োজন?

ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও প্রক্রিয়া (২০২৪)


পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করার সময় প্রায় সকলের মনে যে প্রশ্নটি আসে, তা হল: "ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?" এমন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক কারণ অনেকেই এই প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে অজ্ঞ। সাধারণত বিদেশ ভ্রমণ বা কাজের প্রয়োজনে পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। অনেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য না জানার কারণে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ছুটতে বাধ্য হন।


আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলি সাধারণত জেলা বা বিভাগীয় শহরে অবস্থিত, যা অনেকের জন্য দূরবর্তী এবং কষ্টসাধ্য হতে পারে। অনেক সময় পরিচিত বা পূর্বে পাসপোর্ট তৈরি করা ব্যক্তির থেকে তথ্য জেনে নিলেও প্রায়শই এমন হয় যে, কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বাদ পড়ে যায়। এই সমস্যা এড়ানোর জন্যই আমরা এই নিবন্ধটি প্রস্তুত করেছি, যাতে আপনি জানতে পারেন পাসপোর্ট করার জন্য কী কী লাগে।


সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:

বাংলাদেশ সরকারের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ই-পাসপোর্ট করতে লাগে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সামারি, অ্যাপ্লিকেশন ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ, পেমেন্ট রসিদ ইত্যাদি ডকুমেন্ট। নীচে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হলো:


ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান ডকুমেন্টস:

- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মসনদ

- নাগরিকত্ব সনদপত্র এবং পেশা প্রমাণের ডকুমেন্টস

- সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO বা NOC

- ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে **শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডি কার্ড বা সার্টিফিকেট


মেডিয়েট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ধাপসমূহ:

1. অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করুন এবং সেখান থেকে অ্যাপ্লিকেশন সামারি ও অ্যাপ্লিকেশন ফরম প্রিন্ট করুন (অবশ্যই বার কোড সহ)।

2. এই সমস্ত ডকুমেন্টস একত্রিত করুন এবং ব্যাংক ড্রাফট অথবা অনলাইন মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা দিন। 

3. ফি জমার পর পেমেন্ট রসিদ প্রিন্ট করে নিন।


বয়সভিত্তিক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:


| বয়স                       | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস                                        |

|------------------------|-------------------------------------------------------------------|

| ৬ বছরের কম        | বাবা-মায়ের NID ফটোকপি, জন্মসনদ, ৩ আর সাইজ ছবি, পাসপোর্ট সাইজ ছবি |

| ৬-১৫ বছর             | জন্মসনদ, বাবা-মায়ের NID ফটোকপি, পেশা প্রমাণপত্র (যদি শিক্ষার্থী হয়)   |

| ১৮-২০ বছর           | জন্মসনদ বা NID, পেশা প্রমাণপত্র (যদি শিক্ষার্থী হয়)                  |

| ২০ বছরের বেশি     | NID, পেশা প্রমাণপত্র                                             |


বিশেষ নির্দেশিকা:


- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে (৬ বছরের কম): অনলাইন জন্মসনদ (ইংরেজি ভার্সন), বাবা ও মায়ের পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং ছবি।

- শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে: আইডি কার্ড বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সনদ।

- গৃহিণীদের ক্ষেত্রে: পেশা প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয় না।


পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:


- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড (যদি আবেদনকারী শিক্ষার্থী হন)

- বিদ্যুৎ বিল বা যেকোনো বিলের কপি


ই-পাসপোর্ট পুনঃইস্যু:

পুনঃইস্যু করার জন্য প্রয়োজন পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং নতুন আবেদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস।


জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট করা যায়?

হ্যাঁ, যদি আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের নিচে হয়, তবে NID ছাড়াই পাসপোর্ট করা যায়। তবে আবেদনকারীর অনলাইন জন্মসনদ (ইংরেজি ভার্সন) লাগবে।


ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রসঙ্গে সত্যায়ন:

ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো সত্যায়নের প্রয়োজন নেই।


শেষ কথা:

আশা করি এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি ২০২৪ সালে ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। উল্লেখিত ডকুমেন্টস ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সহজেই ই-পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব।

All Photos: CC Free to use (সমস্ত ফটো: ব্যবহার করার জন্য বিনামূল্যে)